রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০০৯

সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনে ৫৭টি লেভেল ক্রসিং এখন মৃত্যু কূপসিলেট- আখাউড়া রেল সেকশনে ৫৭টি মৃত্যু কূপ যেন ওৎপেতে বসে আছে।

এম এচই কুলাউড়া বিডি ডট কম
সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনে ৫৭টি লেভেল ক্রসিং এখন মৃত্যু কূপসিলেট- আখাউড়া রেল সেকশনে ৫৭টি মৃত্যু কূপ যেন ওৎপেতে বসে আছে। একটু অসাবধান হলেই নির্ঘাত দূর্ঘটনা সহ প্রাণহানী ঘটার আশংঙ্কা থাকে। এইসব মৃত্যু কূপে গত ৭ বছরে দূর্ঘটনায় ১৩ জনের প্রাণহানী ঘটলেও কর্তৃপ প্রতিরোধে নির্বিকার। জানা গেছে, সিলেট- আখাউড়া রেল লাইনে ও কুলাউড়া- শায়েস্তাগঞ্জ সেকশনে ৬৩টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। তন্মধ্যে ৬টিতে গেইটম্যান আছে। ৫৭টি লেভেল ক্রসিং গেইটম্যান বিহীন ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। জানা গেছে, এ সেকশনে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মাইজগাঁও পর্যন্ত অনুমোদিত ২৯টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে ৬টিতে গেইটম্যান আছে ২৩টি গেইটম্যান বিহীন। এছাড়া অনুমোদনহীন ৩৪টি লেভেল ক্রসিং রয়েছে। নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণের পর এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই লেভেল ক্রসিংগুলো নির্মাণ করা হয়। এসব লেভেল ক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। অনুমোদনহীন রেল ক্রসিংগুলোর গুরুত্ব থাকলেও রেলওয়ে কর্তৃপ এব্যাপার নির্বিকার। ফলে গেইটম্যান ছাড়া অরতি অবস্থায় লেভেল ক্রসিংগুলো পরে রয়েছে। অরতি লেভেল ক্রসিংগুলো হচ্ছে- ভানুগাছ- কুমড়াকাপন সড়ক, ভানুগাছ- মুন্সিবাজার সড়ক, ব্রানবাজার- সমশেরনগর সড়ক, সমশেরনগর- মনুষ্টেশন সড়ক, সাতগাঁও- সিন্দুরখাঁন সড়ক, শাহাজির বাজার- আশিদ্রোন, মিরপুর- তুঙ্গেশ্বর মাছের বাজার, এবং কুলাউড়া স্কুল চৌমুহনা এলাকায় অবস্থিত লেভেল ক্রসিংগুলো । পরিসংখ্যানে জানা যায়, সিলেট- আখাউড়া রেল সেকশনে ২০০২ সালে সমশেরনগর- মনু ষ্টেশন লেভেল ক্রসিংয়ে রেলের সাথে মিশুকের সংঘর্ষে ৫যাত্রী নিহত হয়। ২০০৬ সালের মে মাসে সাতগাঁও ডাউন পয়েন্টের কাছে লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ২ বেবী টেক্সি আরোহী নিহত হয়। ২০০৮ সালে ১৬ ফেব্রুয়ারী কুলাউড়া স্কুল চৌমুহনী লেভেল ক্রসিংয়ে আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে কুলাউড়া দমকল বাহিনীর পিকআপের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ দমকল কর্মী নিহত হয়। রেলওয়ে বিভাগের উপ- সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আক্তার খান বলেন, লেভেলক্রসিং কিছু বৈধ কিছু অবৈধ আছে। যেসব লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট ম্যান নাই সেসব স্থানে পথচারী ও যানবাহন নিজ দায়িত্বে পারাপার হওয়ার জন্য সাইনবোর্ড টানানো আছে