রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০০৯

কুলাউড়া সহ মৌলভীবাজার জেলায় বিদ্যুৎ সংকটে বিপর্যয়ের মুখে চা শিল্প প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ

এম এচই কুলাউড়া বিডি ডট কম
কুলাউড়া সহ মৌলভীবাজার জেলায় বিদ্যুৎ সংকটে বিপর্যয়ের মুখে চা শিল্প প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থবিদ্যুৎ সংকটে মৌলভীবাজার জেলার সবকটি চা বাগানে চা উৎপাদনে ধস নামার আশংকা করছেন চা সংশিষ্টরা। বিদ্যুতের অব্যাহত লোড শেডিং ও তীব্র পানি সংকটের কারনে চা উৎপাদনে ধস নামার এ পরিস্থি সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে এবছর চা উৎপাদন হ্রাস, উৎপাদিত চায়ের গুনগত মান বজায় ও যন্ত্রপাতি বিনষ্টসহ চা শিল্পে ধস নেমে আসবে । চলতি সপ্তাহে প্রচন্ড খরার তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। একদিকে লোড শেডিং অপর দিকে তাপদাহ। লোড শেডিং আর তাপদাহের কারণে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী, খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। সকাল ৮টা থেকে প্রখর রোদের তাপদাহ বাড়তে থাকে এবং সুর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কাঠফাটা রোদের ঝাজে শহর জীবনের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। একেতো গরমের অসহ্য যন্ত্রনা, একটু স্বস্থির জন্য ফ্যানের বাতাস নিতে গেলেও বৈদ্যুতিক লোড শেডিং। ঘন্টার পর ঘন্টা লোড শেডিংএর ফলে জনজীবন চরম অস্বস্থিকর অবস্থায় পৌছেছে। সকাল ১১টার পর রাস্তায় কেউ বের হতে সাহস করে না, বিশেষ প্রয়োজন না হলে। তাছাড়া রিক্সাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে ওষ্ঠাগত। ক্রমান্বয়ে তাপদাহ বাড়তে প্রখরতা রাতে না থাকলেও ভেপসা গরমে প্রশান্তির ঘুম হারাম হয়ে পড়ে। এভাবেই চলছে শ্রীমঙ্গলের মানুষের জীবনযাত্রা। জানা যায়,দেশের মোট চা বাগানের ৮৬ শতাংশ চা উৎপাদন হয় মৌলভীবাজার জেলায়। এ জেলায় রয়েছে ৯০টি চা বাগান । বর্তমানে এসব বাগানে চলছে অনির্ধারিত ও দীর্ঘকালীন লোড শেডিং। চায়ের জন্য নুন্যতম পানিটুকুও অনেক েেত্র সরবরাহ করা যাচ্ছেনা বিদ্যুত না থাকার ফলে। এসব বাগানগুলোতে বিদ্যুত সরবরাহ করে থাকে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ পলী বিদ্যুত সমিতি। তাদের চাহিদা ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট হলেও তার বিপরীতে তারা পাচ্ছে ১৯ থেকে ২০ মেগাওয়াট। চা বাগান সংশিষ্টরা জানান, উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে এমন বিপর্যয় ঘটলে আগামীতে এ শিল্পের জন্য কোন সুখবর নেই। চা বাগানের বিভিন্ন ভ্যালীর সুত্রে জানা যায়, সপ্তাহে প্রতিটি ভ্যালীতে ২৩ ঘন্টা থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুতের লোড শেডিং চলছে। অথচ এবছর চা উৎপাদন গত বছরের চেয়ে ভালো হবার কথা। কিন্তু বিদ্যুতের এমন নাজুক অবস্থা বিরাজ করলে এ পরিস্থিতিতে চা শিল্প টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে। দেশী বিদেশী বিভিন্ন চা কোম্পানীর প্রায় শতাধিক চা বাগানে নিজস্ব বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় চা উৎপাদন ব্যবহত হচ্ছে। জেমস ফিনলে, ডানকান ব্রাদার্সসহ বেশ কয়েকটি বিদেশী চা বাগানে রয়েছে সীমিত আকারে বিকল্প গ্যাস জেনারেটরের ব্যবস্থা। এ সকল একাধিক সমস্যার কারনে দেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল চাশিল্পে মারাত্মক ধস নামতে পারে বলে আংশকা করছেন চা বিশেষজ্ঞরা।