রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০০৯

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সুস্বাদু জাতের ধানমাঠ ভরা ধান তার

এম এচই কুলাউড়া বিডি ডট কম
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সুস্বাদু জাতের ধানমাঠ ভরা ধান তার / জল ভরা দীঘি /চাঁদের কিরন লাগে /করে ঝিকি মিকি । সেই কবে বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতাও কবির এ কথাটির সত্যতা জানান দিয়ে গেছেন । সে কথা আজ ইতিহাস । গ্রামবাংলার অতীত ঐতিহ্য । এর ধারাবাহিকতায় বিগত ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে মৌলভীবাজার জেলর হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি থেকে প্রায় অর্ধ শতাধিক স্থানীয় জাতের ধান হারিয়ে গেছে । ফসলের মাটে এখন আর মনকাড়া নাম , আলাদা বৈশিষ্ট গন্ধ ও লোভনীয় স্বাদের ধান খুঁজে পাওয়া যায় না । স্বকীয়তা নেই ধানী ফসলের মাটে । হাতে গনা মাত্র কয়েক জন শৌখিন কৃষক নিজের প্রয়োজনে ও অতিথি আপ্যায়নের জন্য স্থানীয় জাতের কিছু ধান চাঁষ করেন । কৃষকরা জানান কুলাউড়া , জুড়ী ,বড়লেখা শ্রীমঙ্গল , কমলগঞ্জ , মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলা সহ জেলাজুড়ে কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জাতের ৫৭ রকমের ধান চাঁষ করে আসছিলেন । এসব ধানের রয়েছে আকর্ষনীয় নাম স্বাদেও েেত ভিন্ন বিন্ন বৈশিষ্ট। কিছু উচ্চ ফলনশীল ধান কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌছার পর গত ১০.১৫ বছরে একের পর এক ধানের জাত বিলুপ্ত হয়েছে । তবে কিছু সচ্ছল কৃষক শখ করে এখন কিছু কিছু সুগ›্ধি সুস্বাদু ধানের চাঁষ করেন । তবে তা এলাকায় সীমিত পরিসরে । কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় মৌলভীবাজারে স্থানীয় জাতের মধ্যে রয়েছে পটনাই , ভগে¦শ্বরী আককাই বিরইন বীরকাজল ,জরিনা লালীর খসরা রাজাসাইল সোনামুখি বিরইন কাকসাইল সমুদ্রফেনা মধুবিরইন দুনাই জটাই মধুমালতি পকে বিরইন চেঙ্গের স্বর্ণময়ুরী কার্তিক সাইল দুধলাকি ময়নাসাইল পশুবিরইন প্রসাদ ভোগ আড়াই, গোয়ারাইল কাঠাল বিরইন নাগরা সাইল খরা বিরইন পর্বত চিনি গুড়া কালাকারা বাশফুল নাজিমউদ্দিন,কালিজিরা ঘরই তুলশীমালা বি এম ভেরাইটি চেংড়ি পশুসাইল পাজম বালাম চিনি গুড়া নাজির ইন্দ্র শাইল, জরিয়া,রঞ্জিত, মকাই বলমান, গোয়ার শাইল, ভুতু বালাম, র্কাতিক চিনি, মোটর শাইল, লতাশাইল ও মালতি। এর মধ্যে এখনো কৃষকরা মোটামুটি অনিয়মিত-অনিয়মিত চাষ করছেন বিরইন, লতা শাইল, ময়না শাইল, বালাম, স্বর্ণ মসুরি ওগোয়ার ছড়া। আর বিভিন্ন এলাকায় সচ্ছল ও শৌখিন কৃষকরা নিজেদের খাওয়া বা অতিতি আপ্যায়নের জন্য অন্যান্য কয়েক জাতের ধান চাষ কওে থাকেন । সূত্র জানায় অধিক ফসলের আশায় স্থানীয় জাতের ধান ফরানোর প্রতি কৃষকদেও আগ্রহ ক্রমেই হারিয়ে গেছে । তবে বন্যা,খরা,অতিবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যো গে ধান নষ্ট হয়ে গেলে উফশি জাতের ধান রোপণ করা হয় । কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায় স্থানীয় জাতের ধান গুলো গাজীপুর ধান গবেষণা কেন্দ্রেও জিন ব্যাংকে জমা আছে । কৃষিপ্রধান এ দেশে ফসলের জাত গুদামে কিংবা গবেষণা কেন্দ্রে গচ্ছিত রেখে কৃষককুলের কি হবে ? মাঠের ফসল মাঠেই ছড়াক । এ প্রতিনিধিকে দেয়া প্রখ্যাত কৃষক নেতা কমরেড আব্দুল মালিক সেই কবে এক বিশেষ সাাতকাওে বলেছিলেন কৃষকদেও ভবনার কথা এভাবে- চাষীরেতোর লাল সালাম লাল নিশানিরে কাস্তে মোদেও বুকের বল লাল সূর্যে ঝলমল ।