রবিবার, ২৬ জুলাই, ২০০৯

রামসার সাইট ঘোষণার দাবী জোরালো হচ্ছে হাকালুকি হাওরের কেন্দ্র করে পর্যটনের সম্ভবনা বাড়ছে








সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সিলেটের ৬ টি উপজেলা বেষ্টিত হাকালুকি হাওরকে রামসার সাইট ঘোষণা করলে পর্যটনের েেত্র সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। এশিয়ার এর্ববৃহৎ এই হাওর জীববৈচিত্র্য ও মৎস্য । দেশ হবে সমৃদ্ধ । হাওর তীরবর্তী মানুষ হবে উপকৃত। এক সমীায় জানা , গেছে , হাকালুকির আয়তন ২৪ হাজার মিঠা পনির মৎস্য প্রজনমের অন্যতম কেন্দ্র । মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী, কুলাউড়া বড়লেখা এবং সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা বেষ্টিত হাওরের উপকৃলবর্তী প্রায় দুই ল মানুষ প্রত্য ও পরোভাবে জীবন জীবিকার েেত্র হাওরের উপর নির্ভরশীল। শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমে এই হাওর ভিন্ন ভিন রূপ ধারণ করে । জীব বৈচিত্র্যের মধ্যে এখানে রয়েছে ৫ শ ২৬ প্রজাতির মাছ, ১১২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ,১২ প্রজাতির উভচর , ৭০ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৯ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ১২ প্রজাতির কচ্ছপ। এছাড়া এ হাওরে প্রায় ৩০৫ প্রজাতির স্থানীয় পাখি বিচরণ করে। উদ্ভিদ , প্রাণী ও পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের পারস্পরিক ভারসাম্যপূর্ণ রয়েছে পরিবেশ ব্যবস্থায়। এই হাওর তীরের মানুষের অপরিকল্পিত কার্যকলাপের কারণে সরকার গত ১৯৯৫ সালে এই হাওরকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিও) হিসেবে ঘোষণা করে তবে এটি বিশ্বেও পরিবেশবাদী দাতা সংস্থার নজরে আসবে। এতে পরিবেশবাদী দাতা সংস্থার নজরে আসবে। এতে পরিবেশবাদীরা আগ্রহী হবে। পর্যটকদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে। হাওরকেন্দ্রিক পর্যটনের শিল্পে উন্মোচিত হবে সম্ভাবনার নতুন দ্বার । সরকারের ল ল টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ হবে। রামসার সাইট ঘোষণায় হাওর তীরের বাসিন্দাদের জীবন জীবিকায় আসবে আমুল পরিবর্তন। ফলে এখানে যে প্রকল্প গৃহীত হবে তা বিজ্ঞান , পরিবেশ ও বাস্তব সম্মত। সরকার ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সুন্দরবন ও টাংগুয়ার হাওর এলাকাকে রামসার সাইট হিসাবে ঘোষণা করেছ। এর সুফলও মানুষ পেতে শুরু করেছে। তাই হাকালুকি হাওরের গুরুত্ব বিবেচনায় একে দেশের তৃতীয় স্থান হিসাবে রামসার সাইট ঘোষণা করা এখন সময়ের দাবী। নেপালের মত দেশে অসংখ্যা জলাশয়কে রামসার সাইট ঘোষণা করা গেলে একই বাস্তবতায় বাংলাদেশেও একাধিক স্থানকে রামসার সাইট ঘোষণা করা যেতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন