মঙ্গলবার, ৪ আগস্ট, ২০০৯

মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত\ এ পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ২৬ জনের

এম এচই কুলাউড়া বিডি ডট কম MHkulauraBD.blogger.com

মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত\ এ পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ২৬ জনের বড়লেখার মাধবকুন্ড জলপ্রপাতে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনায় বন বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা তাদের চরম উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতাকেই দায়ী করছেন। গত ৮ বছরে মাধবকুন্ড জলপ্রাপাতে বেড়াতে এসে ২৬ জন পর্যটকের মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে। গত ১ আগস্ট এ তালিকায় জাহাঙ্গীর হোসেন রিয়েল নামক এক কলেজ ছাত্রের নাম যোগ হলো। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকা থেকে বন বিভাগ প্রতি বছর ল ল টাকা রাজস্ব আয় করলেও মৃত্যু রোধে সংশিষ্ট কর্তৃপ শুধু প্রকল্পই গ্রহণ করেছে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও গৃহিত এসব প্রকল্প বাস্তবে রূপ দান করেনি। ফলে পর্যটন এলাকায় বেড়াতে এসে বিভিন্ন ভাবে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাধবকুন্ড জলপ্রপাত এলাকায় অনাকাক্সিত মৃত্যু রোধে বন বিভাগ ঝুঁকিপুর্ণ স্থানে নিরাপত্তা বেস্টনী গড়ে তোলার প্রকল্প গ্রহণ করে। বছরের পর বছর তা লাল ফিতায় বন্দি থেকে গেছে। ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট আল ফতেহ মো: শাহী নামক ঢাকার স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে বন বিভাগের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর জলপ্রপাতের ঝুঁকিপুর্ন স্থানে নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরির দাবি এবং প্রয়োজনীয়তা আরো জোরালো হয়। কিন্তু ১ বছর অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে প্রতি বছর পানি পতিত হয়ে সৃষ্ট ঘুর্ণিতে অথবা ঝর্ণার উপর থেকে পড়ে দু’একজন পর্যটকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। গত ১ আগস্ট ঢাকার উত্তরা মডেল আনোয়ারা ডিগ্রি কলেজ, কমার্স কলেজ, টাউন মডেল ডিগ্রি কলেজ ও শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১২ জন সহপাঠি এবং দু’ ব্যবসায়ী বন্ধুকে নিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন রিয়েল বড়লেখার মাধবকুণ্ডের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেড়াতে আসে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে জাহাঙ্গীর হোসেন রিয়েল তার ব্যবসায়ী বন্ধু ফয়সল আহমদকে নিয়ে সাঁতার কাটার জন্য জলপ্রপাতের পানিতে নামে। এক সময় স্রোতের প্রচণ্ড তোড়ে রিয়েল পানির নীচে তলিয়ে যায়। দীর্ঘ ১৩ ঘন্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে ডুবুরিরা তার লাশ উদ্ধার করে। মৃতের তালিকায় জাহাঙ্গীর হোসেন রিয়েলের নাম নতুন করে যোগ হলো। এ ব্যাপারে সহকারী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, নিরাপত্তা বেস্টনী তৈরির একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী বছর তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।