শনিবার, ২ মে, ২০০৯

৭দিনেরকাগজ

৭দিনেরকাগজ

সোয়াইন ফ্লুর ভাইরাস ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী
মেক্সিকো থেকে উৎপত্তি সোয়াইন ফ্লুর ভাইরাস ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতার মাত্রা ৪-এ উর্ত্তীন করেছে। সতর্কতার মাত্রা ৪ এর অর্থ হচ্ছে "এই ফ্লু মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমন হচ্ছে এবং মহামারী আকার ধারন করতে পারে"। সতর্কতা মাত্রা ৬-এ পৌঁছলে তা মহামারী হিসেবে গণ্য করা হয়। সেই হিসাবে এখনো আতংক হবার মত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে মনে করেন। তবে ১৯৬৮ সালে ‘হংকং ফ্লু’ মহামারী আকারে ছড়িয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০ লাখ লোক মারা যাওয়ার স্মৃতির কথা মনে রেখে প্রতিটি দেশেই নিচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। সোয়াইন ফ্লু মূলত শুকরের তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত রোগ। শ্বাস-প্রশ্বাস, সরাসরি মিলন−এসবের মাধ্যমে ভাইরাসটি এক শুকর থেকে অন্য শুকরে সংক্রমিত হয়। শূকরের সংস্পর্শে এলে মানুষের এতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখন পর্যন্ত এ ফ্লুর কার্যকরী কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক নেই। বার্ড ফ্লু ও সাধারণ ফ্লুর ওষুধেই চলছে এর চিকিৎসা। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছে ১৫২ জন ছাড়িয়ে যাওয়ায় মহামারী ঘোষণার শঙ্কা বাড়ছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ জন, কানাডা ৬, স্কটল্যান্ড ২ এবং স্পেনে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যে ৫০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৪০ জনই নিউইয়র্ক সিটি স্কুলের। বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লুর বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সরকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুত্র বলছে, সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত কেউ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকলে এই রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই সোয়াইন ফ্লু দেখা দিয়েছে এমন দেশ থেকে আসা দেশি-বিদেশি নাগরিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে আপাতত দৃষ্টিতে রোগটি শুকরবাহিত বিধায় বাংলাদেশে সোয়াইন ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই